সোমবার, ৭ জুন, ২০১০

২২শে জানুয়ারি-পার্বতীর শেষ লেখা শূভন্কর কে


চিল উরে গেলেও তার এক চিলতে ছায়া রেখে যায় কাপাস্ ক্ষেতে কিংবা ঢালু পাহারের চুরায়।
আর তুমি?
তোমার দিন রাত এতো কি কাজ বোলো তো?
মহাভারত লিখছো?কোনো এপিক?
এক মিনিট এর দেখা দিতেই এক মাস্?

জাদুকর পি সি সরকার কবি ছিলেন কি না জানি না,
তবে তোমার মতো কবিদের হালচাল দেখে মনে হয়
সব কবিরাই জাদুকর...
সত্যি কে মিথ্যের লাল নিল রুমাল কিংবা
মিথ্যে কে সত্যির সাদা পায়রা বানাতে যাকে বলে ওস্তাদ..

কি দরকার এতো ছলছূতোর?
মুখ ফুটে বলে দিলেই হয়,যে পার্বোতি
তুমি আমার কাছে এখন এক ফোটা গোলে জাওয়া মোম কিংবা পিদিমের পোড়া সোলতে ..
তোমার আলোয় আর আগের মতো সাতশো মানিক
খুঁজে পাইনা আমি ।



তবু একদিন
তুমি যদি আসো?তাই সারাদিন
দুঃখ কষ্ট অপেক্ষা গুলো সব ঘষে মেজে ইস্তিরী করে পরিপাটি,
আলমারী ঘেটে ঘেটে সবচেয়ে দামি অভ্যথ্র্না ।

তুমি মেজেন্টা ভালবাসো.....শাড়ীতে সেই রঙ্গ;
তুমি বর্ষা দেখতে পাগল,
তাই চোখের চারপাশে কাজল পরা মেঘ ....

পরিশ্রান্ত হয়ে আসছো,বিছানা একটু নরম না হলে লাগবে..
তাই আচঁলের ঘের কমিয়ে
তুলতুলে দুটো বালিস

এই ভাবে জেগে বসে...

অন্ধকার তার সমস্ত ব্যাথা নিয়ে জলের উপর উপূড়
আর লাখো জলপরি তাদের গায়ের আসে মক্তো দিয়ে ছরিয়ে,
অন্ধকার যেনো সমুদ্র কে কাছে পায়,
তাদের আলিঙ্গনে কোথাও যেনো না থাকে দীর্ঘশ্বাসের ফাঁক।

ভালোবাসা কতটা বর্ষা বাদলে ভিজলে এস্রাজের কান্না হয়?
কি দিয়ে গড়ো তুমি আমাকে?
অক্ষরে?ছন্দে?উপমায়?
সাদা কাগজে কালো কালির আচঁরে?

কিন্তূ তোমার মতো অমরত্তের তৃষ্ণায় আমি কাতর নই শূভন্কর
আমি সুধু তোমাকেই চাই,
তুমি যেমন,ঠিক তেমন।
আমি জানি তুমি বলবে-‘আমি যে বড় ভাঙ্গাচূড়া পার্বোতি;আমি অসমাপ্ত পান্ডুলিপির মত কাটাছেঁড়া..জীর্ণ’

হোক...সেই তুমি আমার স্বপ্ন।
দয়া কর শূভন্কর,জীবনে আর একবার সুযোগ দাও আমাকে,
আমি দর্পন হই....
পৃথিবীর স্বচ্ছতম দর্পন,
আর তুমি নিজেকে দেখে নাও সম্পূর্ন
একবার...
এবং এই শেষবারের মত দাউ তোমার অগ্নি জটাময়ী চুল


দ্যাখো আমার চিরূণীতে তারা
ফিরে যায় কিনা পুরোনো শৃঙ্খলায়

আমাকে দাও তোমার শীর্ণ বাহু আর পাঁচ আঙ্গুলের রূগ্ন ডালপালা...
দ্যাখো,আমি তাদের সর্বাঙ্গে পরিয়ে দিতে পারি কিনা বসন্ত কালের উৎসবের সাজ


নিল জলরাসির যে সমুদ্র...
একবার,
একবার ভাসতে দাউ এই বেহুলা কে সেখানে...
দ্যাখো,পারি কিনা ধূয়ে দিতে তোমার রক্তের সংক্রামিত বিষ।

শূভন্কর ,
যতই তু্চ্ছ তাচ্ছিল কর,
ভালোবাসা এখনও সাবিত্রী;
মৃত্যু অথবা মৃত্যুর মত যে কোনো ধ্বংসের
উদ্ধারমন্ত্র সে এখনও,
প্রবল অনাবৃষ্টির পরও তাঁর কপালে চীর
সিঁদূর টিপ।

ভালোবাসার কাছে ফিরে এসো শূভন্কর...
আমার কাছে আরো একটু থাকো...

দ্যাখো,হাওয়ার বিরূদ্ধে এই আমি ছড়িয়ে দিচ্ছি আমার
দীর্ঘ আচঁল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন