শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০১০

কিংশূক(নীল ব্লাউজ আর সোনালি সেফটিপিন)


ভীষণ ঠান্ডা ,বরফের চেয়ও ভীষণ
আকাশ বলে কিছু নেই,মানুষের মুখে আর মানুষের মুখ নেই
কোনো উম্মাদ ট্রেইন এর চাকার তলায়
নক্ষত্রহীন অন্ধকারে মৃত কিছু চোখের মত জগত
শেষে ছুরে দিবে যা ছিল,যা আছে,যা হতে পারতো,সব।
এরকমই বলতে তুমি,আমি চলে গেলে হবে।
মরে যাবে তুমি।

আমি কিন্তু যাইনি কোথাও,
মিথ্যে মিথ্যে দোষ দিয়ে তুমিই চলে গেছো
পেছনে ডাকিনি আমি
খানিকটা পথ গিয়ে ফিরে আসবে ভেবেই ডাকিনি
দাঁড়িয়ে ছিলাম সারা দুপুর,বিকেল,সারারাত।
যেখানে রেখে গেছো সেখানেই শীতল হতে হতে,পাথর হতে হতে
দাঁড়িয়ে ছিলাম ।

কোথাও হয়তো তুমি
টেনে হিচঁড়ে বের করছো জীবনের ভেতর থেকে আরেক জীবন,
আশংকার বিষধর সাপ আমার শরীর জুরে সারারাত হাটে।

সকালের শিশির তখনো ঘাসের ডগায়,
তখনও মেলার মাঠ ঘুম ঘুম
আমি অবিশ্বাস্য চোখে দেখি কোনো এক পুরুষের বুকের কাছে,
নীল ব্লাউজ আর সোনালি সেফটিপিন এ ভোলাতে
চাইছো তাকে।
মনে মনে কাছে টানছো,জানি।
মনে মনে তার সাথে যতদুর যাওয়া যায়,গেছো।


আমি যে চেঁচিয়ে বলবো-‘যাকে যত ইচ্ছা ভালবাসো,
সমস্যা নেই,
শুধু দূরে গিয়ে বাসো,আমার চোখের সামনে বেসো না’-
পারিনা।

কন্ঠস্বরও কেমন আশ্চর্য জমে গেছে
বরফের চেয়ও ভীষণ বরফে।

বুধবার, ১৬ জুন, ২০১০

সস্তা সাবানে হস্তমৈথূন ও বিবিধ



(উৎসর্গ : কবি অন্জন খান- প্রিয় কবি,অপ্রিয় শত্রূ )

আপনি কবি নন,বরং মিথ্যেবাদি
পরস্ত্র্র্রী কে নিয়ে কবিতা লিখছেন ঠিকই কিন্তূ আসলে আপনি কবি নন,
ঘরে ফিরে ইলিশ মাছ আর খিঁচুরী তারপর
মশারীর তলে পুরনো নারীর ঘামের গন্ধে সাত মিনিট এর অতৃপ্ত সংগম...;
বহু ব্যবরীত ঝুলন্ত স্তনে হাত দিয়ে আপনার কামনা জেগে থাকে অন্য কোথাও ..
আপনি আসলে কবি নন।
হীরামন পালক আর কালো প্রজাপতি নিয়ে নাফ নদীর নিটোল কাহিনি বাদ দিয়ে
আপনি বরং চটি লিখুন
নির্লজ্জ ও সরল,
দেবর ভাবী মাসীমার যৌন কাহিনী..
সেটাই মানাবে বরং
বিকোবে ও খুব
৮৯.কম থেকে তুলে এনে নগ্ন ছবি
আপনি বরং চটি ই লিখুন...গরম সরম ।
বিবেক থাকলে আপনি কবি হতেন,
যে কোনো কিছু লিখেই...তবুও হতেন,
এখন আপনি দুর্বল পত্রীকার সাংবাদিক,বেশ্যার দালাল,শেয়ার ব্যবসায়ী,এক ছেলের বাপ,নূপংসক স্বামী..যাই হন না ক্যানো
কবি নন।
আপনি ও পুরুষ এবং যথারিতী নোংরা,কদর্য
রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া যে কোনো সুদর্শনা কে
চোখ দিয়ে ধর্ষন করা সস্তা মানুষ,
কবি নন।
কবি হলে ভালোবাসতে জানতেন,
যে কোনো বিষে নীল হলেও অপার্থীব মোহে বুকে টানতেন ভয়ংকর কাল নাগিনী বারবার ...
কবি হলে আপনি কাঁদতেন!
বাজার থেকে বেছে কেনা পঁচা শরপুটি আর পালংশাক
কিনে নিজেকে বিজয়ী ভাবা ছারা
আর কোনো উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই আপনার;
অতটুকু সাহস নেই ....
তবুও দুশ্চরিত্রের বানে, যে কোনো বৃষ্টির রাতে
পরস্ত্র্র্রীর আহবানে পুরুষাঙ্গের মাথা ভিজান আঠালো জলে,
আর বাসী লূঙ্গী কাঁচতে গিয়ে আপনার বউ খূঁজে পায় আপনার ই অতৃপ্ত বীর্যের দাহন !
আপনি বহুগামী পরাজীত বয়স্ক কামুক হলেও হতে পারেন,
কিন্তূ কবি নন।
যদি কবি হতে চান..একবার ঝাঁপ দিন সবুজ আগুনে আবার,
দহনে দহনে নিজেকে পরিশুদ্ধ করুন,
তারপর লিখুন..
আর নয়তো যান,মাথা গুঁজে করুন নীল সাংবাদিকতা
আর সস্তা সাবান কিনে গোসলের আগে
যে কোনো কাউকে ভেবে হস্তমৈথুন করুন
একশতবার ...
তারপর ক্লান্ত হয়ে সিগারেটে নিভান আপনার শেষ পরিচয়
এভাবেই বাচুন আপনি
এভাবেই মরুন

বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০১০

পার্বতির রাজশাহী সিল্কের শাড়ী ও একজন পরিচয়হীন


বন্ধুগন,আমার পরিচয় লিখুন,
নাম-কবি।নিবাস-জানা নাই।
জন্মকাল-জানা নাই।মৃত্যু তারিখ – জানা নাই।
সবশেষে লিখুন বাপের নাম –জানা নাই।
লিখুন এবং ছাপিয়ে দিন সারা দেশময়,
স্বদেশ জানুক, বেজন্মারাও কবি হয় কখনো সখনো।

আপনাদের যেমন ঘর আছে,সংসার আছে
ছুটির সন্ধায় হুইস্কী - মেয়েমানুষ আছে;
আমার আছে পূর্বপুরুষের ভিটে বাড়ির মতো শুধু কবিতা।
বন্ধুগন,আপনারা কি চান?
স্বাধীনতা?
সমাজতন্ত্র?
আঠারো বছরের কিশোরির বুক?
ধানক্ষেত?
রেফ্রিজারেটর?
আমি কিছুই দিতে পারবোনা।
অন্ন বস্ত্র বীমাহীন অসু্স্হ জীবনের মুখে থুতু দিয়ে
আমি শুধু কবিতা লিখতে পারি,
আর কিছু না।

যদিও আমি চেয়েছি রাতারাতি বদলে যেতে আপনাদের মতো অনেকবার,
কিন্তূ হারাবার মতো কোনো অমুল্য সম্পদ হয়নি বলেই
ফুতপাত থেকে উঠে এসে মাথা নিচু করে আমি ঢুকে গেছি ভাড়া করা টিনের কামরায়
তবুও হঠাৎ সন্ধায় আমার ও ইচ্ছে করে চড়া অর্কেষ্ট্রায় রবীন্দ্রনাথের গান আকাশে উড়িয়ে একদিন ভাসন দিয়ে আসি জাতির উদ্দেশে,
বলি: ‘প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম
আমি এসে গেছি’।

বন্ধুগন,আপনাদের ব্যাংক ব্যালেন্স আর চর্বির চিকনাই যত বাড়ে,
আনুপাতিক হারে ততই আমার গায়ের চামরা ঠেকে হাড়ে।
আমার পিঠে ঘাম,পায়ে ফোস্কা...
আহা ! হঠাৎ একটু বৃষ্টি যদি নামে....
সেই যে সকাল বেলা গত রাতের বাসী ভাত খেয়েছি
আর কিছু পরেনি এই পেটে
তবু দেখুন,এক পার্বতীর মুখ সতত বহন করে চলেছি গভীর বিশ্বাসে।
আজ তার মুখোমুখি হতে নিঃশব্দে দাড়িয়েছি উনিশতলা দালানের সামনে।

বলুন,আমি কি করবো?
আমার পেছনে কোনো জনসমর্থন নেই,কপালে লাল ফিতা,মিছিল শ্লোগান নেই
আমার শুধু আমি আছি পরিচয়হীন,
অনেক দুরের পথ পাড়ি দিয়ে এখানে এসেছি,
আরো কিছুক্ষন আমাকে দাড়াতে দিন।
সন্ধে নামলেই এই অসভ্য কংক্রিটের দালান থেকে বের হবে আমার প্রিয়তমা,
একবার দেখতে দিন
রাজশাহী সিল্কের লাল পার শাড়ীতে জড়িয়ে
সে কেমন রানীর হালে আছে।

বন্ধুগন,যদি কখোনো পথের ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পরি আমি
আপনাদের উপর দায়িত্ব রইলো
আমাকে জাগিয়ে দেবার,
আমি ওপেক্ষায় আছি ,এখোনো শ্রেষ্ট কবিতা টি লিখবো বলে;
তার আগে একবার
প্রিয়তমা পার্বতি কে দেখে নিতে চাই।
কৃষকের লাঙ্গলের ফলায় যেমন জং ধরে,
তেমনি জং ধরেছে আমার কলম ও কবিতায়।
ভালোবাসা নয়,দু বেলা দু মুঠো
মোটাচালের ভাতেই আমার এখন চলে,
তবু এই যে আমি-
নাম-কবি,নিবাস –ওজানা,
জন্ম ও মৃত্যুকাল -জানা নেই, এমন কি স্বন্দিহান পিতৃ পরিচয়;
আজ অপূর্ণ স্বপ্ন বুকে নিয়ে
উনিশতলা দালানের সামনে দাড়িয়ে..
আমি জেনে গেছি-
আমি ঠিক কাকে ভালোবাসি।

সোমবার, ৭ জুন, ২০১০

২২শে জানুয়ারি-পার্বতীর শেষ লেখা শূভন্কর কে


চিল উরে গেলেও তার এক চিলতে ছায়া রেখে যায় কাপাস্ ক্ষেতে কিংবা ঢালু পাহারের চুরায়।
আর তুমি?
তোমার দিন রাত এতো কি কাজ বোলো তো?
মহাভারত লিখছো?কোনো এপিক?
এক মিনিট এর দেখা দিতেই এক মাস্?

জাদুকর পি সি সরকার কবি ছিলেন কি না জানি না,
তবে তোমার মতো কবিদের হালচাল দেখে মনে হয়
সব কবিরাই জাদুকর...
সত্যি কে মিথ্যের লাল নিল রুমাল কিংবা
মিথ্যে কে সত্যির সাদা পায়রা বানাতে যাকে বলে ওস্তাদ..

কি দরকার এতো ছলছূতোর?
মুখ ফুটে বলে দিলেই হয়,যে পার্বোতি
তুমি আমার কাছে এখন এক ফোটা গোলে জাওয়া মোম কিংবা পিদিমের পোড়া সোলতে ..
তোমার আলোয় আর আগের মতো সাতশো মানিক
খুঁজে পাইনা আমি ।



তবু একদিন
তুমি যদি আসো?তাই সারাদিন
দুঃখ কষ্ট অপেক্ষা গুলো সব ঘষে মেজে ইস্তিরী করে পরিপাটি,
আলমারী ঘেটে ঘেটে সবচেয়ে দামি অভ্যথ্র্না ।

তুমি মেজেন্টা ভালবাসো.....শাড়ীতে সেই রঙ্গ;
তুমি বর্ষা দেখতে পাগল,
তাই চোখের চারপাশে কাজল পরা মেঘ ....

পরিশ্রান্ত হয়ে আসছো,বিছানা একটু নরম না হলে লাগবে..
তাই আচঁলের ঘের কমিয়ে
তুলতুলে দুটো বালিস

এই ভাবে জেগে বসে...

অন্ধকার তার সমস্ত ব্যাথা নিয়ে জলের উপর উপূড়
আর লাখো জলপরি তাদের গায়ের আসে মক্তো দিয়ে ছরিয়ে,
অন্ধকার যেনো সমুদ্র কে কাছে পায়,
তাদের আলিঙ্গনে কোথাও যেনো না থাকে দীর্ঘশ্বাসের ফাঁক।

ভালোবাসা কতটা বর্ষা বাদলে ভিজলে এস্রাজের কান্না হয়?
কি দিয়ে গড়ো তুমি আমাকে?
অক্ষরে?ছন্দে?উপমায়?
সাদা কাগজে কালো কালির আচঁরে?

কিন্তূ তোমার মতো অমরত্তের তৃষ্ণায় আমি কাতর নই শূভন্কর
আমি সুধু তোমাকেই চাই,
তুমি যেমন,ঠিক তেমন।
আমি জানি তুমি বলবে-‘আমি যে বড় ভাঙ্গাচূড়া পার্বোতি;আমি অসমাপ্ত পান্ডুলিপির মত কাটাছেঁড়া..জীর্ণ’

হোক...সেই তুমি আমার স্বপ্ন।
দয়া কর শূভন্কর,জীবনে আর একবার সুযোগ দাও আমাকে,
আমি দর্পন হই....
পৃথিবীর স্বচ্ছতম দর্পন,
আর তুমি নিজেকে দেখে নাও সম্পূর্ন
একবার...
এবং এই শেষবারের মত দাউ তোমার অগ্নি জটাময়ী চুল


দ্যাখো আমার চিরূণীতে তারা
ফিরে যায় কিনা পুরোনো শৃঙ্খলায়

আমাকে দাও তোমার শীর্ণ বাহু আর পাঁচ আঙ্গুলের রূগ্ন ডালপালা...
দ্যাখো,আমি তাদের সর্বাঙ্গে পরিয়ে দিতে পারি কিনা বসন্ত কালের উৎসবের সাজ


নিল জলরাসির যে সমুদ্র...
একবার,
একবার ভাসতে দাউ এই বেহুলা কে সেখানে...
দ্যাখো,পারি কিনা ধূয়ে দিতে তোমার রক্তের সংক্রামিত বিষ।

শূভন্কর ,
যতই তু্চ্ছ তাচ্ছিল কর,
ভালোবাসা এখনও সাবিত্রী;
মৃত্যু অথবা মৃত্যুর মত যে কোনো ধ্বংসের
উদ্ধারমন্ত্র সে এখনও,
প্রবল অনাবৃষ্টির পরও তাঁর কপালে চীর
সিঁদূর টিপ।

ভালোবাসার কাছে ফিরে এসো শূভন্কর...
আমার কাছে আরো একটু থাকো...

দ্যাখো,হাওয়ার বিরূদ্ধে এই আমি ছড়িয়ে দিচ্ছি আমার
দীর্ঘ আচঁল।

রবিবার, ৬ জুন, ২০১০

দৈনিক পত্রিকায় আমার কবিতা "রবীন্দ্রনাথ ও তিন প্যাকেট কনডম" এর সমালোচনা



একটি জাতীয় দৈনিকে ভুল করে একটা কবিতা ছাপতে দিয়েছিলাম।তারপর বেশ কিছু সমালোচনা ছাপা হলো।ওই ইংরেজী দৈনিকের সবেচেয়ে ভদ্র সমালোচনাটি তুলে দিলাম:

June 2nd In the Literature page I was stuck while going through a poem seeing its heading” Rabindranath o tin packet Raja Condom” by Palash Kausher. Suddenly I sit tight and went through every verse carefully and after that tried to know about this poet and his writings.

He succeeded in drawing attention of a wider readership when she started writing poems in different way, encouraged by few poets. His alleged anti-social writings caused controversy:"ফিরে আসতে চাইলে আসতে পারো যে কোনো ভাবে,যত জাক দিন..আমার কাছে ফেরাটা বড়,দেরিটা নয়"|But his writing spreads in many diversify manner :"একবার ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুল চাই....দিবি??In one place he has written:"বাসর রাতে পাজামার গিট আটকে যাওয়ার মত বিব্রতকর...”it is funny to imagine but literally deep in thought.

Palash Kausher never writes positive to live and always try to fill out the dirty gaps of survival

"নিচের ঠোটে কামড় দিয়ে রক্তো খাবো.."
"ভালো আছো নাকি তোমার দিল হেই কে মানতা নেহি"Palash Kausher raised controversy not only because of his criticisms about Rabindranath but also for narratives involving the private lives of people:"সংগমে সয়ং রবীঠাকুর কে ও বিছ্রি দেখায় যখন সে কোমপোমান হাতে মিলনের পুর্বে খোলে পুরনো কনডম" here he has draw Rabindranath in odd manner which reflects his total emotional controversy also.
Sometimes his writing reflects uncommon true desire words which remains still rare in general poems, like:"আকাংখিত ব্রার মাপ ৩৬ C" or "মাসিকের ফেলা দেয়া তেনার মতো ফালতু অসহায়"Against some devil gesture he reflects his anger also in some place:"খানকির পোলাদের জাত হয় না কোনো,বলে সে কবি..আসলে দুর্বল চার ইঞ্চি লিঙ্গো ছারা তার পুরুসত্ত শূন্যর কোঠায়.."Again its controversial thoughts which can effect badly to religion beliefs when he writes :"হস্ত মৈথূনে মাধূরী নয়,দেবী দূর্গা কেই মনে পরেছে বারবার,
আমি আর পুজো দেতে জাইনি কোনোদিন.."But overall the poem consist a mystic touch of new style and patterns which attracts deeply in mind. There are cute verses in between the odd which is emotionally lucrative and sounds soft in heart:"হাতের পশমে জমে থাকে শিশীরের মতো তার ঠান্ডা জিভের আদর"
Hope this poet will turn his writing positively and get out of the insensible throwing game of words to life.


Shamonto Shoikot
East West University