শনিবার, ১০ জুলাই, ২০১০

সব কিছু নষ্টদের দখলে-৩(ইশ কথা বলে)-আগামি পর্বে শেষ



শহর জুড়ে অসভ্য বসবাস,পাস্তা,চাউমিন,জিন্স,ফতুয়া,শীতাতপ করোলার বিলাসী নকল জীবন।তিন তারা /পাচ তারা হোটেলে যে ছেলে মেয়েটা শিশা টানে,বিয়ার খায়,বাহুল্য ওড়না ফেলে দিয়ে অশ্লিল নাচে,তার ঘরে হয়তো এশার নামাজ পরে ভাতের মাড় ঢালছে মা,পিতা তসবি হাতে বারান্দায়।এদের বেশিরভাগেরই পুর্বপুরুষ বো্রোখেতে রৌদ্রে পুড়ে আগাছা নিড়াতো,পুকুরে ডুব দিয়ে গোসল সেরে গামছা দিয়ে গা মুছতো।মায়ের মাথা থেকে ঘোমটা পড়ে না,এদিকে মেয়ে পারলে সেলোয়ার খুলে ফেলে আধুনিক হয়ে যায়।
মদ খাউয়া যদি আধুনিকতা হয়,তবে মেথরপট্টি তে বসে ব্যাটারী ভেজানো তাড়ি খাওয়া বেশ্যা আর বাইদানীরাই সবচেয়ে বেশি আধুনিক।না কি ভদ্র সমাজ মনে করে,শীতাতপ আলোর ঝলকানি আর পারফিউম মাখা পুরুষ পাশে নিয়ে মদ না খেলে সভ্যতা আসে না!
আমি আমার কোনো যোগ্য প্রতিপক্ষ পাই না বলেই নিরব থাকি।আমার প্রকাশ্য শত্রুরা এতই ফাউল যে,দু চারটা মিথ্যা গল্প রটানো ছারা তাদের আর কিছু করার থাকে না।এমন কি সেই নারীও,যার জন্য আমুল পালটে গেছে অমুল্য একটা জীবন,সে ও ভিষন ফাত্রা ছিল।তাই অবাক হইনা শুনে,সে এখন অমুকের সাথে ঘোরে, তমুকের শাথে শোয়।আমাকে অপবাদ দিয়ে সে কলন্কমুক্ত হয়েছে,এবং সমস্ত ভালবাসার আত্নত্যাগ কে মেপেছে নগদ টাকা দিয়ে।গালে রুজ মাখা সোডিয়ামের আলোয় ঘোরা সস্তা পতিতার ও বিবেক থাকে, তার ছিল না।আমিই ছিলাম বোকার হদ্দ,সাগড় ভেবে ডূবে ছিলাম নোংরা ডোবায়।
অঞ্জন খান নামের এক নষ্ট সাংবাদিক আবার তার অতি বিশ্বস্ত চাকর।ঐ ভন্ডটার পাছায় দুইটা বন্দুক ঢুকালেও আমার কিছু যায় আসে না। সেই অঞ্জন খান,বিড়ি টানতে টানতে বদনা থেকে পাছায় পানি ঢালে আর শীতল আরামে উঠে এসে ফেসবুকে তাকে নিয়ে লেখে যত্তসব ফাউল কবিতা।ওর উচিৎ,রাস্তায় দারিয়ে অর্শ-ভগন্দর,আগা মোটা গোড়া চিকনের লিফ্লেট বিক্রি করা,তা না করে সে বেশরম কবিতা লিখছে।
কয়দিন পর ফেসবুকে পায়খানার ছবিও আপ্লোড করা হবে।প্রাইভেছি শব্দটার মানেই এখন ন্যাংটা হয়ে যাওয়া। বাঙ্গালি অবশ্য কারও ধার ধারে না।যুদ্ধাপরাধের বিচার,গণহত্যা,ব্যর্থ রাজনীতি,উনিশ হাজার শহীদ পরিবার – কোনো কিছুতেই আমাদের কিছু যায় আসে না।সনি তে সি আই ডি,কে এফ সি তে ফ্রাইড চিকেন,আর সাকুরা-এরামে ভদকা থাকলেই-‘জিন্দেগী রক্স’।
সবার আগে নষ্ট হয়েছে আধুনিক মাতৃসমাজ যারা স্তনের দুধ পর্যন্ত দিতে কার্পন্য করে এই ভেবে যে তা ঝুলে গিয়ে পুরুষের বাজারে নির্লজ্জরকমভাবে তার দাম কমে যাবে।ফোমের ব্রা পড়ে বুক উঁচু করার সস্তা প্রবনতা তাদের এখন যায়নি।পিজা হাট বা টগি ওয়ার্লড এ নিয়ে মাতৃত্বের দায়িত্ব সারে,একবার অ নফল নামাজ পরে সন্তানের মাথায় হাত বুলায় না।
আমার ভিশন অসহায় লাগে,যখন দেখি গালের জ্ররুল থেকে কোমরের জন্মদাগ,সব নষ্ট হয়ে গেছে।হিমসাগর আমের গন্ধ মুখে নিয়ে ঘুমিয়ে পরা সেই শৈশব আর আসে না,এদিকে বিচ্ছিরিরকম ভাবে বয়স বাড়ে…


চলবে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন