মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০১০

শুভংকর ও পারবতী:অন্যরকম কবিতা


পৃথিবীতে ঈশ্বরের সৃষ্টি-বৈচিত্রে আমরা রোমাঞ্চিত হই। আমরা হাসি। আমরা কাঁদি। যাদের এই পৃথিবীর জন্য , পৃথিবীর মানুষের জন্য অনেক কিছু করার ইচ্ছে থাকে, কিন্তু সাধ্য থাকে না। আর এরা মানুষ না কবি তা বোঝা যায় না..
চীনের দুঃখ যেমন হোয়াংহো, আমার দুঃখ তেমন "শুভংকর ও পারবতী"। "শুভংকর ও পারবতী" পুরোটাই একটা কথোপকথনন জাতীয় দীর্ঘকবিতা। যেখানে দুটি মানুষের কাছে আসা এবং দূরে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। পারবতী এক অসামান্য নারী যে জীবনের এক কঠিন সময়ে বদলে যায় এবং দূরে সরিয়ে দেয় তার চীরকালের চীরচেনা শুভংকরকে।পারবতী বিহীন জীবন থেকে শুভংকর একসময় হারিয়ে যায়।জীবন বয়ে চলে তার অবাক নিয়মে। "শুভংকর ও পারবতী" হারিয়ে যাওয়া এবং অপেক্ষার কবিতা।এক পরাজীত কবির অপরাজেয় ভালবাসার কবিতা।
কবিতা আমাকে টানে, নিশিডাকের মত, প্রবলভাবে। আমার প্রতিটা লেখায় কমন একটি ব্যপার থাকে আর তা হচ্ছে Innocence । আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষই Innocent হিসাবে জন্মগ্রহণ করে , আর তা টিকে থাকে মৃত্যু পর্যন্ত। শুধু পরিস্থিতির কারণে মানুষ পাপ করতে বাধ্য হয়। আমি সেই পাপী মানুষগুলোর ভেতর থেকে সেই অদ্ভূত অথচ খাঁটি Innocence বের করে আনতে চাই। যদিও আমি নামকরা পাপীদের একজন, আমার সকল লেখায় আমি সেই Innocence "ইনোসেন্স"কে বের করে আনার চেষ্টা করেছি। "শুভংকর ও পারবতী" এ এমনই একজন কবির কথা বলা হয়েছে যে খানিকটা সুররিয়ালিজমে আসক্ত সে শহর, নগর এবং কতিপয় নারীর কাছ থেকে প্রত্যাখ্যত হয়ে একটি গ্রামে অবস্থান গ্রহণ করে, ধান দিয়ে যে মদ হয় , তা আকন্ঠ পান করে জীবনের শ্রেষ্ঠ লেখাটি লিখবে বলে যদিও কালচক্রে তা ব্যর্থতায় রুপ নেয় এবং সে বুঝতে পারে ঈশ্বরই হচ্ছেন তার একমাত্র প্রতিযোগী। আর এই স্পর্ধায় সে হয়ত মৃত্যু অথবা নতুন জীবনের দিকে ধাবিত হয়। আর তাই হয়ত সে বলে,

“ আমার চোখ আমি দেখিনি কখনো প্রতিবিম্ব ছাড়া
প্রতিবিম্ব ছায়া ছাড়া কিছু নয়
তোমাকে প্রথমে ভেবেছি ঈশ্বর
অথবা ঈশ্বরী
তারপর ছায়া ছাড়া আর কিছুই ভাবিনি......”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন