বুধবার, ১৯ মে, ২০১০

তোমার দেখা পেলে হয়তো সহজ হয়ে যেত সব


মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছি আমি। বাধা দেবো তাকে, উপায় নেই আমার। এর মধ্যেই রক্তচক্ষু দেখিয়েছে দশবার। পালিয়ে যাবো? অসম্ভব! আমিও নাছোড়বান্দা। যে পায়ে একদিন আমি হেঁটে গেছি তোমার পথের রেখা ধরে- সে অসাড় আজ। আমি হাটু থেকে কোমর অবধি পড়ে আছি সেই বিছানায়-যেখানে তোমার আরেক জন্ম হয়েছিলো বৃষ্টিপ্রহরে।

আমার মৃত্যু গোলাকার নাভি ছুঁয়ে বসে আছে- নরকের সামান্য নিচে; যেখানে একদিন জেগেছিলো অসংখ্য অগ্নিগহ্বর। ভাঙনে মুক্ত জলের মতো খলখল করে বের হয়ে আসছে সদ্যজাত মীমাংসিত মৃত্যু। যার বাহু পেচিয়ে ধরেছে স্মৃতিময় আবক্ষ- যেখানে বহুদিন মাথা রেখে শুয়েছিলে তুমি।

তোমার মেহেদীরাঙা কত কত চুল ঝরেছিলো ওখানে- রাত্রির ওম ওম হিমাঙ্ক বিশ্বাসে। আজ তোমার আমন ছোঁয়া আমার সেই হাতে কত সহজে হাত রেখেছে খসখসে মৃত্যু। আমার হাতছানি কত সহজেই হয়ে গেছে মৃত্যুর আহ্বান! যে হাত ধরে তুমি হেঁটেছিলে বহু পথ; কাদামাখা ধানক্ষেত, পার হয়েছিলে পথে পথে কত বুনোফুলের সারি! আঙুলে আঙুল রেখে লিখেছিলে নির্ভুল ভালোবাসার বার্ষিক ফলাফল।

সবকিছু ভেদ করে মৃত্যু আজ ছুয়েছে আমার শুকনো ঠোঁট; চিরুনি অভিযানে তুলে নিয়ে যাচ্ছে আনন্দে আগলে রাখা চুমুর আস্বাদ। চমমার ফাঁকে চেয়ে আছে সবুজপোড়া বিষন্ন চোখ- অক্ষম দৃষ্টি মেলে দেখছে মৃত্যুর নিশ্চিত আগমন; অথচ একবার তোমার দেখা পেলে হয়তো সহজ হয়ে যেত সব। তবুও তোমার দেখা নেই- কত দূর থেকে যাত্রা শুরু করেছো তুমি?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন